১৩ সেপ্টেম্বর ১৬ প্রেক্ষাগৃহে ‘মায়াবতী’
আসছে ১৩ সেপ্টেম্বর দেশব্যাপী অন্তত ১৬টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ইয়াশ রোহান ও নুসরাত ইমরোজ তিশা জুটির প্রথম চলচ্চিত্র ‘মায়াবতী’
ইয়াশ রোহান ও নুসরাত ইমরোজ তিশা জুটির প্রথম চলচ্চিত্র ‘মায়াবতী’। আসছে ১৩ সেপ্টেম্বর দেশব্যাপী অন্তত ১৬টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে। চ্যানেল আই অনলাইনকে জানালেন ছবির প্রযোজক আনোয়ার আজাদ।
ছবির পোস্টার,টিজার ও ট্রেলার প্রকাশের পর বেশ আগ্রহ তৈরী করেছে অরুণ চৌধুরীর দ্বিতীয় চলচ্চিত্র ‘মায়াবতী’। প্রচার প্রচারণায়ও বেশ সাড়া ফেলেছে ছবিটি। অনলাইনে চলচ্চিত্র বিষয়ক গ্রুপ থেকে শুরু করে সাধারণ চলচ্চিত্র প্রেমীরাও ছবিটির প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন।
শুধু তাই নয়, চলচ্চিত্রের দাপুটে নির্মাতা, অভিনেতারাও তিশা-ইয়াশ জুটির ‘মায়াবতী’ ছবিটি দেখার আহ্বান জানিয়ে সোশাল মিডিয়াতে পোস্ট করছেন। বিষয়টিকে বাংলা চলচ্চিত্রের জন্য খুব ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেছেন কানাডা প্রবাসী প্রযোজক আনোয়ার আজাদ।
শনিবার সন্ধ্যার পর চ্যানেল আই অনলাইনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি কানাডার টরেন্টো থেকে বাংলাদেশে আসার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন। তিনি জানালেন, ‘মায়াবতী’র মুক্তির তারিখ এগিয়ে আসায় দেশে আসছেন। রবিবার দুপুরে ঢাকায় অবতরণ করবেন। এরপরই স্বশরীরে অংশ নিবেন নিজের প্রযোজিত ছবির প্রচারণায়।
ছবির প্রচারণা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে আনোয়ার আজাদ বলেন, দূর থেকে যতোটুকু টের পাচ্ছি, ‘মায়াবাতী’ বেশ ভালো সাড়া ফেলছে বাংলাদেশের মানুষের মাঝে। বিশেষ করে অনলাইনে যেভাবে প্রচারণা হচ্ছে, প্রযোজক হিসেবে এটা খুবই আনন্দের। তারচেয়ে বড় কথা, মানুষ যেভাবে মায়াবতীকে সাপোর্ট করছেন, এতেই আমরা তৃপ্ত। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
প্রচারণা নিয়ে তিনি আরো বলেন, যারা ‘মায়াবতী’র প্রমোট করছেন, তাদের প্ল্যানগুলো মনে ধরার মতো। এটা নিয়ে আমি খুব আশাবাদী। একটি ছবি আসছে, মানুষকে এই খবরটি ঠিকঠাকভাবে পৌঁছানো হয় না। কিন্তু ‘মায়াবতী’র ক্ষেত্রে সেটা হচ্ছে, এটাও বিরাট আনন্দের।
১৬টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে ‘মায়াবতী’, এমনটা জানিয়ে এই প্রযোজক বলেন, সংখ্যায় ১৬টি মাত্র হল হলেও এই সংখ্যায় আমরা আনন্দিত। কারণ দেশের বিভিন্ন জেলা শহরের সবচেয়ে নামিদামি হলগুলোই আমরা পেয়েছি। রাজধানী শহরের সিনেপ্লেক্স ছাড়াও সবচেয়ে ভালো হলে চলবে ‘মায়াবতী’। প্রচারণা ও হলের বিষয়টি খুব ভালো ভাবে সম্পন্ন হলো, এখন বাকিটা দর্শকের উপর!
এই ছবি সফল হলে অদূর ভবিষ্যতে আরো প্রবাসী বাঙালি চলচ্চিত্র নির্মাণে আসতে সাহস করবেন জানিয়ে আনোয়ার আজাদ বলেন, মায়াবতী মুক্তির আগেই যেভাবে সাড়া ফেলছে, তাতে অনেকেই ছবি নির্মাণে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। প্রচার-প্রচারণার পর ছবিটি যদি হিট করে তাহলে হয়তো আমার মতো আরো অনেকেই বাংলা ছবিতে অর্থ লগ্নি করতে সাহস করবেন।
‘মায়াবতী’ নিয়ে টরেন্টের মানুষের মধ্যে বেশ আগ্রহ তৈরী হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, টরেন্টেতে প্রবাসী বাঙালিরা ভেবেছে ১৩ সেপ্টেম্বর সেখানেও ছবিটি মুক্তি পাবে। তারা এই ছবিটির খোঁজ খবর করেছেন। এগুলো একজন প্রযোজক হিসেবে আমার জন্য আবেগের। এখন শুধু ছবিটি মুক্তির অপেক্ষা। দেখা যাক দর্শক ছবিটি কীভাবে নেয়!
মায়াবতীতে থাকছে একটি মেয়ের গল্প, তার রূপ যৌবন এবং সঙ্গে অনেক প্রেম! নারী পাচার ও যৌনপল্লীর গল্প নিয়ে নিজের কাহিনী ও চিত্রনাট্যে সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন পরিচালক অরুণ চৌধুরী। চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেছে আনোয়ার আজাদ ফিল্মস ও অনন্য সৃষ্টি ভিশন। এছাড়া পরিবেশনার দায়িত্বে রয়েছে জাজ মাল্টিমিডিয়া।
‘মায়াবতী’তে তিশা ও রোহান ছাড়াও অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, রাইসুল ইসলাম আসাদ, দিলারা জামান, মামুনুর রশীদ, ওয়াহিদা মল্লিক জলিসহ অনেকে।