১১তম সিল্ক রোড আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হবে ‘মেঘনা কন্যা’
আগামী ২১ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত ১১তম সিল্ক রোড আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এবারের উৎসবের মূল প্রতিপাদ্য “সংযুক্ত বিশ্বের জন্য সিল্ক রোড, আলোকিত চাং’আনে চলচ্চিত্র”, যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চলচ্চিত্র নির্মাতা ও বিশেষজ্ঞদের সমাগম হবে। উৎসবে বাংলাদেশের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র কার ফুয়াদ চৌধুরীর ‘মেঘনা কন্যা’ সিনেমাটি প্রদর্শিত হবে। সিনেমাটি এই উৎসবের জন্য দক্ষিণ এশিয়া থেকে নির্বাচিত একমাত্র চলচ্চিত্র।
মানবপাচারের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক চলচ্চিত্র ‘মেঘনা কন্যা’ গত ঈদুল ফিতরে মুক্তি পায়। এর আগে কানাডার টরেন্টো ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেয়ারে (টিআইআইএফ) সিনেমাটি প্রদর্শিত হয়। পেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার পর সারাদেশের শিল্পকলা একাডেমিগুলোতে ও সীমান্তবর্তী জেলায় (যেখান থেকে পাচারের সম্ভাবনা বেশি হয়) দেখানো হয় ‘মেঘনা কন্যা’। চলচ্চিত্রটির সহযোগী হিসেবে রয়েছে- কাজী ফার্মস গ্রুপ, ভিশন ইলেকট্রনিক্স ও ঢাকাস্থ সুইস দূতাবাস।
সিল্ক রোড আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবটির পৃষ্ঠপোষক হিসেবে আছে- চায়না মিডিয়া গ্রুপ, শানসি প্রাদেশিক এবং ফুজিয়ান প্রাদেশিক সরকার।
উৎসবের মূল কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে চলচ্চিত্র প্যানোরামা, চলচ্চিত্র ফোরাম, এবং বিভিন্ন দেশ থেকে আগত চলচ্চিত্র বিশেষজ্ঞ ও প্রখ্যাত ব্যক্তিত্বদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ‘গোল্ডেন সিল্ক রোড অ্যাওয়ার্ড’ এর বিচার পর্ব। এছাড়াও, বিভিন্ন ধরণের চলচ্চিত্র বিনিময় কর্মসূচির মাধ্যমে সিল্ক রোডের দেশগুলোর মধ্যে সংস্কৃতির মেলবন্ধন দৃঢ় হবে।
২৫ সেপ্টেম্বর উৎসবের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হবে।
এই উৎসবে অংশ নেবেন বেশ কিছু বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং বিশ্লেষক।
ফুয়াদ চৌধুরী পরিচালিত এই অপরাধ-সংক্রান্ত নাট্য-চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে নারী পাচারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে। একদিকে দৃষ্টিপাত করা হয়েছে নিষিদ্ধপল্লীর অন্ধকার জগতের দিকে, অন্যদিকে এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে শহুরে নারীদের অসহায়ত্বকে। সিনেমার সংলাপ ও চিত্রনাট্য লিখেছেন আহমেদ খান হীরক ও ফাহমিদুর রহমান।
“মেঘনা কন্যার” প্রধান চরিত্রগুলোতে অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, কাজী নওশাবা আহমেদ, শতাব্দী ওয়াদুদ, সেমন্তি দাস সৌমি এবং সাজ্জাদ হোসেইন। মুভিটির সংগীত পরিচালনা করেছেন চিরকুট ব্যান্ডের প্রধান ভোকালিস্ট শারমিন সুলতানা সুমি।