‘মায়া’ নামের এক কিশোরী ছোটবেলায় ১০ বছর বয়সে ওমেন্ ট্রাফিকিংয়ের ফাঁদে পড়ে মানিকগঞ্জের এক গ্রাম থেকে মায়ের কাছ থেকে চুরি হয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে যৌন পল্লীতে বিক্রি হয়ে যায়। তাতে মেয়ের শোকে মা প্রায় পাগল হয়ে মেয়েটির খোঁজে চলে আসেন ঢাকা শহরে। ওদিকে মেয়েটি রেড লাইট এরিয়া’য় গানের এক শিক্ষকের হাতে পড়ে হয়ে যায় গানের শিল্পী। রেড লাইট এরিয়া’র পাশে দাদু বাড়িতে থাকা বি.এ. পরীক্ষা দেয়া এক তরুণ মেয়েটির গান শুনতে যৌন পল্লীতে ঢু দেয়। এভাবেই ওদের দুজনের মধ্যে ভালবাসা গড়ে ওঠে।যৌন পল্লীতে বেড়ে ওঠা, সংগীত গুরু খোদাবক্সের সাথে গুরু-শিষ্য সম্পর্ক ও ব্যারিস্টার পুত্রের সাথে মায়ার প্রেম নিয়ে সংগীতনির্ভর ছবি‘মায়াবতী’। গল্পের প্রতি বিশ্বস্ততার কারণে দৌলতদিয়ার রেড লাইট এরিয়াতে শুটিং করেছেন এ ছবির শিল্পী-কলাকুশলীরা। ২ ঘন্টা ২০ মিনিট ব্যাপ্তির এ ছবি মায়াবতী একটি ভালবাসার সিনেমা। এ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিনেত্রী তিশা এবারই প্রথম কোনো চলচ্চিত্রের নামভূমিকায় অভিনয় করলেন। ‘স্বপ্নজাল’ নায়ক ইয়াশ রোহানের বিপরীতেও তিশার এটি প্রথম চলচ্চিত্র। সারা দেশে এ ছবিটি পরিবেশনার দায়িত্ব নিয়েছে জাজ মাল্টিমিডিয়া।১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা সহ সারাদেশে মুক্তি পাবে এ ছবিটি। আনোয়ার আজাদ ফিল্মস ও অনন্য সৃষ্টি অডিও ভিশন ছবিটি প্রযোজনা করেছেন। এই ছবি’র চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন অরুণ চৌধুরী।
#মায়াবতী | Mayaboti # ২০১৯ র দুই ঘণ্টা এবং বিশ মিনিটের পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ।
আনোয়ার আজাদ ফিল্মসের ও অনন্য সৃষ্টি অডিও ভিশনের প্রযোজনায় এবং অরুণ চৌধুরীর পরিচালনায় অভিনয়শিল্পীদের তালিকায় আছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা, ইয়াশ রোহান ,ফজলুর রহমান বাবু । তাছাড়া রাইসুল ইসলাম আসাদ, মামুুনুর রশীদ, দিলারা জামান, ফজলুর রহমান বাবু, আফরোজা বানু, ওয়াহিদা মল্লিক জলি, আব্দুল্লাহ রানা, অরুণা বিশ্বাস, তানভীর হোসেন প্রবাল-এর মত মেধাবী অভিনয়শিল্পীদের মিলনমেলা রয়েছে এ ছবিতে।
Behind The Scenes
A Anwar Azad Films production Association with Annono Shristi Audio Vision #মায়াবতী | Mayaboti # Shooting on Various Location in Bangladesh. মায়াবতী ছবিটি একটি মেয়ের জার্নি [Journey]। তবে এ জার্নিটি মিউজিকাল । ছবিতে সংগীতের একটি বিরাট ভুমিকা রয়েছে । কেননা গল্পটাই একটি চমৎকার কণ্ঠের অধিকারিণী মেয়ের গল্প । মেয়েটির নাম মায়াবতী ৷ গ্রামের সহজ সরল এই মেয়েটি ঘটনাচক্রে ছোটবেলাতেই পাচার হয়ে যায় এক পতিতাপল্লিতে ৷ শুরু হয় তার দুঃসহ জীবন ৷ সেই জীবন যখন বিষিয়ে উঠতে শুরু করে তখন গান পাগল এক খদ্দের মায়াবতীর গান শুনে তাকে এই অন্ধকার জগৎ থেকে বের করে নিয়ে আসে ৷ তাকে এক উস্তাদের কাছে নিয়ে গিয়ে গান শেখায় ৷ এখান থেকেই শুরু হয় মায়াবতীর আরেক জীবন ৷ আর যখন তার গান শুনে মুগ্ধ হয় এক উচ্চশিক্ষিত ছেলে ইকবাল, তখন যেন মায়াবতীর জীবনের আশার আলোগুলো একে একে জলে উঠতে থাকে ৷ মায়াবতীকে যে উস্তাদ গান শেখায়, অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু, ছবিতে দেখা যাবে সে মায়াবতীকে নিয়ে ঢাকা শহর এবং গ্রামের নানা জায়গায় যায়, গানের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য,বাংলায় যাকে বলে “খেপ মারা” ৷ এই মিউজিক জার্নিই এই ছবির গল্পের বিশেষ একটা দিক ৷ ছবির শেষে একটি মোচড় রয়েছে, একটি চমক রয়েছে ৷ মায়াবতীতে স্টেজের একটা গান রয়েছে যেখানে নারি – পুরুষের বাবধান ফুটে উঠবে, গানটি লিখেছেন রফিকুজ্জামান ৷মায়াবতীর নাম ভুমিকায় অভিনয় করেছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা আর ইকবালের চরিত্রে ইয়াশ রোহান ৷ নতুন এই জুটি দর্শকদের ভাল লাগবে বলে ধারনা করা যায় ৷ মায়াবতীতে নতুন-পুরোনো মিলিয়ে পাঁচটি গান রয়েছে ৷ নতুন গান গুলি লিখেছেন রফিকুজ্জামান ৷ সংগীত পরিচালক ফরিদ আহমেদ ৷ গান গেয়েছেন ঐশী এবং অনন্যা চট্টোপাধ্যায় ৷ চিত্রগ্রাহক তানভির আনজুম। সম্পাদক শওকত আলি রানা।