করোনার এই বিশ্বব্যাপী মহামারীর সময়ের এই ঈদ বাঙালি তথা বিশ্বের সব মুসলমানের জীবনের একটি বেদনাদায়ক ঈদ। কিন্তু শিশুরা দুঃখ-বেদনা বোঝে না। এই ঈদে সুবিধাবঞ্চিত এই সমস্ত শিশুদের মুখে কিছুটা হাসি ফোটানো ও সুবিধাবঞ্চিত কজন শিশুকে নতুন পোশাক উপহার দিয়ে তাদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়া হলো এই উদ্যোগর উদ্দেশ্য । আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের বহুলশ্রুত গান ‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে’ এবং সত্যজিৎ রায়ের হীরকরাজার দেশের গান ‘আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে’। ভিন্ন সুরের হলেও দুটি গানেই আনন্দের কথা নিহিত। মানবতার জয়গানের কথা নিহিত। নতুনভাবে এ গানের সংগীতায়োজন করেছেন আমজাদ হোসেন এবং ভিডিও নির্মাণ করেছেন আবদুল্লাহ মোহাম্মদ আহাদ। গানটি ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আনোয়ার আজাদ ফিল্মস এর অফিসিয়াল ইউটিউবে প্রকাশিত হয়েছে। মিউজিক ভিডিওটির শিরোনাম তাই আনন্দের গান I Anonder Gaan ।
সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলোর কিছু অংশ দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে ‘আনন্দের গান | Anonder Gaan’ শিরোনামের এই মিউজিক ভিডিওটি ।
আনোয়ার আজাদ ফিল্মসের প্রযোজনায় এবং গায়ক স্বপ্নীল সজীবের গানে ও পরিচালনায় করোনা কালীন ২০২০ সালের রমজানের এই ঈদে “আনোয়ার আজাদ ফিল্মস ” ইউ টিউব চ্যানেলের জন্য এই মিউজিক ভিডিওটি বানানো হয়েছে এবং চ্যানেলে এসেছে ২৪শে মে ।
Behind The Scenes
A Anwar Azad Films production for YouTube Channel #Anwar_Azad_Films during Corona Pandemic worldwide in 2020
চলমান করোনা আতঙ্কে থমকে গেছে সারা পৃথিবী। এদিকে দুয়ারে কড়া নাড়ছে খুশির ঈদ। ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে নতুন জামা। কিন্তু সামগ্রিক এ পরিস্থিতে আমাদের আশ-পাশের সুবিধাবঞ্চিত অনেক শিশুদেরই নতুন জামা কিনে দেওয়ার সামর্থ্য নেই তাদের পরিবারের। শিশুদের পাশে দাঁড়িয়েছে কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশী প্রযোজক আনোয়ার আজাদ তরুণ গায়ক স্বপ্নীল সজীবের মাধমে ভিন্নধর্মী মানবিক উদ্যোগ নিয়ে। মহামারীর এই ঈদে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা যেন আনন্দবঞ্চিত না হয়, সে জন্য তাদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিয়েছেন স্বপ্নীল সজীব মিশন হিউম্যানিটি বাংলাদেশের পৃষ্ঠপোষকতায় । উপহার দেওয়া ও সময় কাটানোর পাশাপাশি তিনি নিজের একটি গানেরও সঙ্গী করে নিয়েছেন এই শিশুদের।এই ঈদ বাঙালি তথা বিশ্বের সব মুসলমানের জীবনের একটি বেদনাদায়ক ঈদ। কিন্তু শিশুরা দুঃখ-বেদনা বোঝে না। এই ঈদে তাদের মুখে কিছুটা হাসি ফোটাতে পেরে নিজেদের ধন্য মনে করছেন পুরো টীম । এটি দেখে যদি অন্যরাও যার যার জায়গা থেকে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের দিকে এগিয়ে আসে, সেটাই হবে এই টিমের এই উদ্যোগের সার্থকতা।